এবিএনএ : এতদঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আরও ভালো সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার বাসভবন গণভবনে ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশ সৌজন্য সাক্ষাতে এলে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রেস সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং ভারতের হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি এবং দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যাও আলোচনায় উঠে আসে।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের বৈদেশিক নীতি- সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারও সাথে বৈরিতা নয়। আমরা সবসময়ই মনে করি যে, এই অঞ্চলের জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সবার আগে আরও ভালো সহযোগিতা প্রয়োজন।শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলো তাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারে।করোনা মহামারির বিস্তার রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করে রীভা গাঙ্গুলি বলেন, এই মরণঘাতী ব্যাধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই একসঙ্গে কাজ করছে।
সরকারের বৃক্ষরোপণ অভিযানের পাশাপাশি তার দল আওয়ামী লীগ মুজিববর্ষে সারাদেশে এক কোটি বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলেও জানান শেখ হাসিনা। সাক্ষাতে হাইকমিশনার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। চিঠিতে নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে তাকে শুভেচ্ছা জানান। ভারতের হাইকমিশনারও এ সময় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাকে শুভকামনা জানান।
শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে স্মরণ করে বলেন, ভারতের জনগণ এবং এর সব রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে অভূতপূর্ব সমর্থন জানিয়েছিল এবং একইভাবে তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ঐতিহাসিক স্থলসীমা চুক্তিকেও সমর্থন জানিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ এবং ভারতের দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে মিলিত হবেন বলেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন হাইকমিশনার। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে।
Share this content: